সত্যনারায়ণ বিশ্বাসের লেখা বাংলা কবিতা ধর্ষিত রাখিবন্ধন, বাংলা কবিতা ধর্ষিত রাখিবন্ধন, মানুষকে চেনার কবিতা, নিজের আসল রূপকে চেনো, Bangla kobita Dhorshita Rakhibandhan by satyanarayan Biswas, bengali poem Dharshita Rakhibandhan by satyanarayan biswas, best Bengali poem, valo Bangla Kobita, Bengali poem about life, truth about life, quotes about life, reality of life, bastobota, jiboner sotyota,nishthur bastob,jiboner sotyota jibon niye bangla kobita,best bengali poem,proest for rape,proest against rape,justice for girl, justice for rape victims, justice for Priyanka Reddy
ধর্ষিত রাখিবন্ধন
---- সত্যনারায়ন বিশ্বাস
আঁখিকে দীপ্তেশর খুব পছন্দ, হয়তো ভালোও বাসে,
হ্যাঁ হয়তো....
আঁখি যে সময়ে কলেজ থেকে ফেরে,দীপ্তেশও সেই সময়ই অফিস থেকে বাড়ি যায়।
সে কারণে মাস ছয়েক ধরে দীপ্তেশ আঁখিকে ফলো করে।
আঁখির বাড়ির স্টপেজ টা দীপ্তেশ এর একটা স্টপেজ আগে,
আঁখিও জানত ব্যাপারটা, ওরও বেশ ভালোই লাগতো!
যতই হোক, এই কম বয়সেই একটা চাকরি ওয়ালা ছেলে তার পিছু করে, এটা কি আর কম প্রাপ্তি!
একদিন দীপ্তেশ যথারীতি বিকেল চারটের সময় অফিসের সামনে স্টপেজে এসে দাঁড়িয়ে আছে।
হঠাৎ করে সে দেখা পায় তার অতি পরিচিত 'রাখি-বন্ধন' বাস টার,
বাসটাই সেদিন প্রচুর ভিড় ছিল,
হয়তো সবারই বাড়ি ফেরার তাড়া ছিল দীপ্তেশের মতোই....
অন্য দিনের মতোই দীপ্তেশ তাড়াতাড়ি বাসে উঠে একেবারে ভেতরের দিকে চলে গেল,
"ঐ তো আঁখির গোলাপি চুড়িদার টা"-বেশ একটা মুচকি হাসির সাথে তার কলিগ বন্ধুদেরকে জানালো দীপ্তেশ!
বাসে প্রচুর ভিড় থাকা সত্ত্বেও দীপ্তেশ ঠিক আঁখির পিছনে দাঁড়ানোর জায়গা করে নিল,
তারপর সেইসব আচরণ করতে লাগলো যে আচরণে একটা ভদ্র বাড়ির মেয়ে তার উপস্থিতি দুঃখজনক মনে করে!
মেয়েটা বারবার পিছন ফিরে ছেলেটার মুখ দেখার চেষ্টা করলেও বেশ কায়দা করে দীপ্তেশ তার মুখ দেখতে দেয় না!
ওই যে প্রথমেই বলেছিলাম হয়তো ভালবাসে!
হ্যাঁ হয়তো....
এভাবে কিছুক্ষণ পাশবিক আচরণ করার পর মেয়েটার মনে হতে থাকে ছেলেটা যেন কেউ তার চেনা!
তবুও ভয়ে বা লজ্জায় সে চুপ করে থাকে,
"এইতো আর একটা স্টপেজ পরেই আমি নামব",এই বলেই নিজের মনকে বারবার সান্ত্বনা দিতে থাকে মেয়েটা!
অনেক পাশবিক কথাবার্তা ও স্পর্শে আক্রান্ত মেয়েটা পরের স্টপেজ ই নেমে গেল!
আর ঠিক তার পরের স্টপেজ এই দীপ্তেশও।
ঘরে ঢুকে হাত মুখ ধুয়ে,খাবার খাওয়ার পর ঘরের ডাইনিং রুমে বসে দীপ্তেশ তার বন্ধুদের সাথে হোয়াটসঅ্যাপে বাসের ঘটনা টা নিয়ে হাসি ঠাট্টা করতে লাগলো!
কিছুক্ষণ পর দীপ্তেশ-এর এর বোন কমলিকা কলেজ থেকে বাড়ি ফিরল।
এসেই ডাইনিং রুমে বসে থাকা তার দাদা দীপ্তেশ কে রাখি পরিয়ে প্রণাম করলো!
হ্যাঁ আজ রাখি বন্ধন!
কমলিকা উপহার হিসেবে তা দাদার কাছ থেকে চাইল তার সুরক্ষা!
দীপ্তেশও সজোরে বলে উঠলো হ্যাঁ বোন আমি তো আছি ই!
হঠাৎ করে কমলিকা তার মাকে এক পাশে নিয়ে গিয়ে কাঁদতে লাগলো,
আর বলল, "জানো মা আজ রাস্তায় যেতে যেতে আমার চুরিদারটা ভিজে যায়,
তাই যাবার সময় আঁখির বাড়ি থেকে ওর একটা চুরিদার পরে কলেজ যাই,
আর আসবার সময় বাসে কোন একটা ছেলে আমার সাথে অভদ্র আচরণ করতে থাকে!
আমার খুব ভয় করছিল মা, কিন্তু লজ্জায় কাউকে কিছু বলতে পারিনি।
জানো মা,সঙ্গে দাদা থাকলে ওদেরকে খুব শিক্ষা দিত! দাদা থাকলে আমার সাথে আজ এটা হতো না!"
হঠাৎ করে দীপ্তেশ এর স্ক্রিন টাচ মোবাইলটার স্কিন টা যেন কাজ করছে না!
হ্যাঁ,কোথা থেকে দু ফোটা জল এসে যেন পড়ল স্কিনটার উপর!
আরো দু ফোটা জল এসে পড়ে দীপ্তেশ এর হাতে বাঁধা থাকা রাখির গিটটা যেন শক্ত করে দিল....
🙏🙏🙏🙏
আমার এই কবিতার আবৃত্তির ভিডিওটি আমার ইউটিউব চ্যানেলে আছে। আপনারা গিয়ে দেখতে পারেন ও আমার চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে দেবেন, ভিডিওটি সকলের সাথে শেয়ার করবেন
YouTube link of this video:https://youtu.be/1sdV-ze12_4
Link of my YouTube Channel:http://Www.youtube.com/c/EmotionalFool
Follow me on fb:https://www.facebook.com/satyanarayan.biswas.505
Follow me on Instagram:https://www.instagram.com/emotionalfool.satya
Follow me on Twitter:https://www.twitter.com/emotionalfoolsb
---- সত্যনারায়ন বিশ্বাস
আঁখিকে দীপ্তেশর খুব পছন্দ, হয়তো ভালোও বাসে,
হ্যাঁ হয়তো....
আঁখি যে সময়ে কলেজ থেকে ফেরে,দীপ্তেশও সেই সময়ই অফিস থেকে বাড়ি যায়।
সে কারণে মাস ছয়েক ধরে দীপ্তেশ আঁখিকে ফলো করে।
আঁখির বাড়ির স্টপেজ টা দীপ্তেশ এর একটা স্টপেজ আগে,
আঁখিও জানত ব্যাপারটা, ওরও বেশ ভালোই লাগতো!
যতই হোক, এই কম বয়সেই একটা চাকরি ওয়ালা ছেলে তার পিছু করে, এটা কি আর কম প্রাপ্তি!
একদিন দীপ্তেশ যথারীতি বিকেল চারটের সময় অফিসের সামনে স্টপেজে এসে দাঁড়িয়ে আছে।
হঠাৎ করে সে দেখা পায় তার অতি পরিচিত 'রাখি-বন্ধন' বাস টার,
বাসটাই সেদিন প্রচুর ভিড় ছিল,
হয়তো সবারই বাড়ি ফেরার তাড়া ছিল দীপ্তেশের মতোই....
অন্য দিনের মতোই দীপ্তেশ তাড়াতাড়ি বাসে উঠে একেবারে ভেতরের দিকে চলে গেল,
"ঐ তো আঁখির গোলাপি চুড়িদার টা"-বেশ একটা মুচকি হাসির সাথে তার কলিগ বন্ধুদেরকে জানালো দীপ্তেশ!
বাসে প্রচুর ভিড় থাকা সত্ত্বেও দীপ্তেশ ঠিক আঁখির পিছনে দাঁড়ানোর জায়গা করে নিল,
তারপর সেইসব আচরণ করতে লাগলো যে আচরণে একটা ভদ্র বাড়ির মেয়ে তার উপস্থিতি দুঃখজনক মনে করে!
মেয়েটা বারবার পিছন ফিরে ছেলেটার মুখ দেখার চেষ্টা করলেও বেশ কায়দা করে দীপ্তেশ তার মুখ দেখতে দেয় না!
ওই যে প্রথমেই বলেছিলাম হয়তো ভালবাসে!
হ্যাঁ হয়তো....
এভাবে কিছুক্ষণ পাশবিক আচরণ করার পর মেয়েটার মনে হতে থাকে ছেলেটা যেন কেউ তার চেনা!
তবুও ভয়ে বা লজ্জায় সে চুপ করে থাকে,
"এইতো আর একটা স্টপেজ পরেই আমি নামব",এই বলেই নিজের মনকে বারবার সান্ত্বনা দিতে থাকে মেয়েটা!
অনেক পাশবিক কথাবার্তা ও স্পর্শে আক্রান্ত মেয়েটা পরের স্টপেজ ই নেমে গেল!
আর ঠিক তার পরের স্টপেজ এই দীপ্তেশও।
ঘরে ঢুকে হাত মুখ ধুয়ে,খাবার খাওয়ার পর ঘরের ডাইনিং রুমে বসে দীপ্তেশ তার বন্ধুদের সাথে হোয়াটসঅ্যাপে বাসের ঘটনা টা নিয়ে হাসি ঠাট্টা করতে লাগলো!
কিছুক্ষণ পর দীপ্তেশ-এর এর বোন কমলিকা কলেজ থেকে বাড়ি ফিরল।
এসেই ডাইনিং রুমে বসে থাকা তার দাদা দীপ্তেশ কে রাখি পরিয়ে প্রণাম করলো!
হ্যাঁ আজ রাখি বন্ধন!
কমলিকা উপহার হিসেবে তা দাদার কাছ থেকে চাইল তার সুরক্ষা!
দীপ্তেশও সজোরে বলে উঠলো হ্যাঁ বোন আমি তো আছি ই!
হঠাৎ করে কমলিকা তার মাকে এক পাশে নিয়ে গিয়ে কাঁদতে লাগলো,
আর বলল, "জানো মা আজ রাস্তায় যেতে যেতে আমার চুরিদারটা ভিজে যায়,
তাই যাবার সময় আঁখির বাড়ি থেকে ওর একটা চুরিদার পরে কলেজ যাই,
আর আসবার সময় বাসে কোন একটা ছেলে আমার সাথে অভদ্র আচরণ করতে থাকে!
আমার খুব ভয় করছিল মা, কিন্তু লজ্জায় কাউকে কিছু বলতে পারিনি।
জানো মা,সঙ্গে দাদা থাকলে ওদেরকে খুব শিক্ষা দিত! দাদা থাকলে আমার সাথে আজ এটা হতো না!"
হঠাৎ করে দীপ্তেশ এর স্ক্রিন টাচ মোবাইলটার স্কিন টা যেন কাজ করছে না!
হ্যাঁ,কোথা থেকে দু ফোটা জল এসে যেন পড়ল স্কিনটার উপর!
আরো দু ফোটা জল এসে পড়ে দীপ্তেশ এর হাতে বাঁধা থাকা রাখির গিটটা যেন শক্ত করে দিল....
🙏🙏🙏🙏
আমার এই কবিতার আবৃত্তির ভিডিওটি আমার ইউটিউব চ্যানেলে আছে। আপনারা গিয়ে দেখতে পারেন ও আমার চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে দেবেন, ভিডিওটি সকলের সাথে শেয়ার করবেন
YouTube link of this video:https://youtu.be/1sdV-ze12_4
Link of my YouTube Channel:http://Www.youtube.com/c/EmotionalFool
Follow me on fb:https://www.facebook.com/satyanarayan.biswas.505
Follow me on Instagram:https://www.instagram.com/emotionalfool.satya
Follow me on Twitter:https://www.twitter.com/emotionalfoolsb
Comments