Skip to main content

সত্যনারায়ণ বিশ্বাসের লেখা বাংলা কবিতা নিজেকে আবার মানুষ বলো!, বাংলা কবিতা, নিজেকে আবার মানুষ বলো!, মানুষকে চেনার কবিতা, নিজের আসল রূপকে চেনো, Bangla Kobita nijeke abar manush bolo by satyanarayan Biswas, bengali poem nijeke abar manus bolo by satyanarayan biswas, best Bengali poem, valo Bangla Kobita, Bengali poem about life, truth about life, quotes about life, reality of life, bastobota, jiboner sotyota,nishthur bastob,jiboner sotyota jibon niye bangla kobita,best bengali porm

 



                                       নিজেকে আবার মানুষ বলো!
                                                                                   এই যে,শুনছেন?  হ্যাঁ,হ্যাঁ, আপনাকেই বলছি,
হ্যাঁ,হ্যাঁ, আপনিই....
 না তেমন কিছু নয়,বলি একটু সময় কি ধার পাওয়া যাবে?
না,আজকালকার দিনে তো ফ্রি তে কিছু পাওয়া যায় না,তাই আর কি!
না, মানে আমি কথা দিয়ে আপনার সময়ের ধার শোধ করে দিতাম....
আসলে কিছু প্রশ্ন জাগছে মনে,কিন্তু শত চেষ্টা করেও উত্তর খুঁজে পাচ্ছি না,
প্রশ্ন গুলো সবারই, হয়তো আপনার মনেও জেগেছে,আর আপনিও সেই আমার মতোই হয়তো তথাকথিত সমাজের বেড়াজালে আবদ্ধ,তাই 'থাক জেনে কি বিশ্বজয় করবো'-এর দলে নাম লিখিয়েছেন!
জানেন তো,আমিও ওই দলেরই স্থায়ী সদস্যপদ নিয়েছিলাম,কিন্তু কি আর করবো বলুন,এখন একই দলে কজন আর বেশিদিন থাকে!
আপনাকেও তো আগের সপ্তাহে দেখেছিলাম অন্য রঙের পোশাক পরেছিলেন,আজ তো আবার দেখছি পাঞ্জাবি টা পরিষ্কার করে ইস্ত্রি করে পরেছেন! খাসা লাগছে কিন্তু আপনাকে! তা দাদা,কি দিয়ে পরিষ্কার করলেন,এত রঙিন লাগছে যে! কোনো ডিটারজেন্ট দিয়ে,নাকি টাকা দিয়ে!!!!
এ বাবা,রাগ করলেন নাকি? দূর,এখনকার দিনে আবার কেও রাগটাগ করে নাকি,আমি তো ভাবলাম আপনি আমার কথা গুলো এক কান দিয়ে শুনে অন্য কান দিয়ে বের করে দেবেন! দেন নি বুঝি!
যাক,তবে আমার প্রশ্নোত্তর পর্বের জন্য একজন ভালো বন্ধুকেই পেয়েছি বলতে হবে....
যদিও এই বন্ধুত্ব ওই ফ্রেন্ডশিপ ডে-এর whatsapp status পর্যন্তই চুক্তিবদ্ধ থাকবে জানি,সে অভিজ্ঞতা বহুবার হয়েছে আমার এর আগে....
তো,status এর জন্যে selfie টা এখুনি তুলবেন নাকি,পরে একটু সেজেগুজে? আমার কিন্তু redmi ফোন,দারুন ছবি ওঠে,পুরো makeup এর মতো!
এই redmi ফোন এ তোলা একটা ছবি দেখেই তো একটা মেয়ে আমার প্রেমে পড়েছিল,
সেই প্রেম টা প্রথম বারের সামনাসামনি দেখা করার পরেই ভুত চতুর্দশীর ভূতের মত উধাও হয়ে গিয়েছিল, সেটা না হয় আলাদা কথা....
আসলে বাইরের চাকচিক্য দেখে মন ভুলে ছিল আর কি, যেই না সামনের কদর্যতা প্রকাশ পেল, অমনি গেল মাথা ঘুরে!
এটা আসলে সবারই হয়, আমারও হয়, কিছুক্ষণ পর হয়তো আপনারও হবে....
এইযে কিছুক্ষণ আগে আপনাকে এতবার ধরে ডাকলাম, আপনি হয়তো ভাবলেন আপনার মন ভোলানোর জন্য কিছু ভালো ভালো কথা বলব,
আর এসে দেখলেন আপনাকে কিছু অপমানজনক কথা বলছি,
মনে মনে হয়ত ভাবছেন যে এসে কি ভুলই না করলেন, হয়তো মনে মনে কিছু সাধু ভাষা উচ্চারণও করছেন আমার উদ্দেশ্যে!
করুন করুন, আমিও করি, 
না,না, আপনার উদ্দেশ্য নয়, আমার উদ্দেশ্যই করি....
আসলে যে কথাগুলো আপনাকে বলছি যে প্রশ্নগুলো আপনাকে জিজ্ঞাসা করছি, সেগুলো আসলে আমারই প্রশ্ন আমার প্রতি!
না মানে, যদি আমি নিজের সাথে নিজে কথা বলি তাহলে আপনার মতোই পরিষ্কার ইস্ত্রি করা পোশাক পরা কিছু লোক আমাকে একটা ছদ্মনাম দিয়ে দেবে,
কি বলুন তো?
হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিকই বলছেন, বলুন....
ঠিকই ধরেছেন,পাগল!
না না আমারই ভূল দাদা, আপনার তো জানারই কথা, এইতো গত রবিবারই দেখলাম, আপনি যার পা চাটেন, মানে ওই আপনার MLA সাহেব আর কি,
এ কি দাদা রাগ করলেন নাকি, না আসলে সত্যি কথা শুনলে আমারও রাগ হয়!
যাক বাদ দিন এটা তো মানুষেরই ধর্ম,মানুষ হই বা না হই অন্তত এই ধর্ম টা আমাদের মধ্যে আছে এটা জেনেও ভালো লাগলো!
যাক বাদ দিন যেটা বলছিলাম আরকি,
ওই গত রবিবার দেখলাম আপনার MLA সাহেব সেই আদিবাসী মানুষটাকেই পাগল বলে লাথি মারলেন,ভোট পরবের আগে যার পা ধরতে পর্যন্ত দ্বিধা করেন নি!
হাসলেন যে বড়ো!
ভুল কিছু বললাম নাকি?
আসলে ভোট টাকে তো ওনারা পরব হিসেবেই দেখেন,
রথ দেখা আর কলা বেচা দুটোই একই সাথে হয়ে যায়,আর সঙ্গে কিছু উপরি রোজগারও....
এ কি দাদা, কথাগুলো খুব তেতো লাগছে নাকি,আসলে আমার ঐ আপনাদের মত কথাগুলোকে washing powder দিয়ে কেচে ইস্ত্রি করে পেশ করার অভ্যাস টা নেই আর কি!
আপনি মনে হয় ছোটবেলায় উলঙ্গ বন্ধু বান্ধবদের সাথে খেলা করেন নি,নাহলে হয়তো আপনাকেও আপনার মা ছোলা কলাইয়ের ছাল ছাড়িয়ে খেতে দিতেন না....
তাই হয়তো ছাল ছাড়ানো জিনিস গ্রহণে আপনার এতো অনীহা!
তা দাদা,এটা তো আর ছোলা কলাই নয় যে,শরীর খারাপ হয়ে যাবে,আর মানসিকতা টা অনেকদিন আগেই গোবর গ্যাস করে দিয়েছেন....
ইস্ অনেক তেতো কথা বলে দিলাম মনে হচ্ছে!
চলুন পাশের চা দোকানটায় বসে একটু চা খেয়ে মুখের স্বাদ টা পরিবর্তন করা যাক....
আপনার তো নিশ্চয়ই তাতে কোন সমস্যা থাকার কথা নয়, আপনি তো স্বাদ বদলে অভ্যস্ত!
কি বললেন অফিস আছে?
দূর, একদিন অফিসে না গেলে আর কি হয়ে যাবে!
কি বললেন মাইনে কাটা যাবে,
ও, আপনাদের তাহলে মাইনেটা কাজ করার জন্য দেওয়া হয়?
 না আসলে জানতাম না তো!
দুর, বাদ দিনতো!
এতদিন ধরে সমাজ, মানসিকতা, দায়িত্ব-কর্তব্য এগুলোকে ফাঁকি দিয়ে এসেছেন, আর একদিন না হয় কাজটা কে ফাঁকি দিলেন! তাও আবার অফিসের!!
চলুন,চলুন,চা খাওয়া যাক.....
এই,পচা,বাবুকে চা দে তো,সঙ্গে দুটো বিস্কুটও দিবি....
                                                 To be continued....

         
        ( এমনিতেই কবিতা টা অনেক বড়ো,আসলে জীবনটা তো অনেক ছোট,আর দায়িত্ব গুলো অনেক বড়ো,অনেক তো ফাঁকি দিলাম,তাই এবার কলমের মধ্য দিয়েই প্রকাশ করছি,বাকি অংশ টা শীঘ্রই আসছে,আমার blog page follow করুন,শীঘ্রই পেয়ে যাবেন বাকি পর্ব,ধন্যবাদ🙏🙏🙏🙏)
 এই কবিতার শেষ অংশটি পড়ার জন্য নিচের লিংকে যান:http://satyanarayanbiswas.blogspot.com/2019/11/bangla-kobita-nijeke-abar-manush-bolo.html
Follow me on fb: http://www.fcebook.com/satyanarayan.biswas.505
Instagram: http://www.instagram.com/satya.being.own/

Comments

Popular posts from this blog

সত্যনারায়ণ বিশ্বাসের লেখা বাংলা কবিতা আমার নিজের আমি, বাংলা কবিতা, আমার নিজের আমি, মানুষকে চেনার কবিতা, নিজের আসল রূপকে চেনো, Bangla Kobita amar nijer ami by satyanarayan Biswas, bengali poem amar nijer ami by satyanarayan biswas, best Bengali poem, valo Bangla Kobita, Bengali poem about life, truth about life, quotes about life, reality of life, bastobota, jiboner sotyota,nishthur bastob,jiboner sotyota jibon niye bangla kobita,best bengali poem

              আমার নিজের আমি                                         সত্যনারায়ণ বিশ্বাস   যদি বসো দর কষতে,আমার দাম টা কমই হবে, দাড়িপাল্লায় তোমার দিকটা অনেকখানিই নিচে রবে! তোমার-আমার দুটো ছবি,পাশাপাশি আঁকো যদি, আমি হবো মৃত সাগর,তুমি খরস্রোতা নদী! চোখ ধাঁধানো রঙিন তুমি,ধূসর আমি,ফ্যাকাশে, আমার রাত্রি অন্তহীন, ভোর তোমারই আকাশে! প্রতি খেলায় জয় তোমারই,আমি ব্যর্থতাতে ক্লান্ত, তোমার বাঁধ উপছে পড়ে,আমি তৃষ্ণার্থ! তুমি সরব প্রতিবাদে,আমার নিরব সহ্য, তোমার আছে কাগজ-কলম,আমার ভাষা উহ্য! তোমার পায়ে নূপুর বাজে,আমার পায়ে শিকল, তোমার কাছে পরাজিত আমার সৈনদল! তুমি ,তুমি করে যাকে ডাকছি এতক্ষণ, যার দখলে আমার শরীর,অন্তর ও মন, নাম টা তার অবাক করা, 'হারিয়ে যাওয়া আমি', নিজের গল্পে,কল্পনাতে,অনেকখানি দামী! যার খোঁজেতে তুমিও পাগল,তোমার মত করে, অজান্তেই নিদ্রারত,তোমার অন্তরে! হন্যে হয়ে হাতড়িয়েছি ঘরের সকল কোন, একটি বারও দেখিনি খুঁজে,নিজের শূন্য ...

সত্যনারায়ণ বিশ্বাসের লেখা বাংলা কবিতা মুখোশের আড়ালে, বাংলা কবিতা মুখোশের আড়ালে, সত্যনারায়ণ বিশ্বাস, মুখোশ, আসল রুপ, bengali poem mukhosher arale by satyanarayan biswas, bangla kobita mukhosher arale by satyanarayan biswas, mukhosh bangla kobita, best bengali poem, asol rup, manuser asol ruper kobita, valo bangla kobita

                                                মুখোশের আড়ালে আমরা মানুষকে চেনার চেয়ে তাদের আন্দাজ করে নিতে বড্ড বেশি অভ্যস্ত!     মানুষটাকে তার মতো করে চেনার এত সময় কোথায়! তার থেকে বরং নিজের মতো করে সাজিয়ে নিই তার জীবনটাকে, এঁকে নিই তার একটা চিত্রপট আমাদের মনের সামর্থ্য অনুযায়ী।     তারপর সেই চিত্রপটকে রাঙ্গিয়ে দিই কিছু সস্তা রঙ্গে! সেই রঙ্গে আসলে আমরা নিজেরা রঙ্গিন,তাই আমরা ভেবে নিই যে হয়তো সবাই রঙ্গিন হতেই পছন্দ করে! রকমারি রঙের ভিড়ে ভুলেই যাই যে সাদাকালো টাও একটা রং,কেও হয়তো সেই রঙ্গেই রঙিন।     নিজের প্রতি আমরা এততাই আসক্ত যে, সর্বদা অন্যের আদলে আমরা নিজেকেই খোঁজার চেষ্টা করি,সুযোগ পেলেই অন্যের আয়নায় উঁকি মেরে নিজেকে সাজিয়ে নিই।     তথাকথিত Social Life-এর সাথে আমাদের সামাজিক জীবনের সংজ্ঞাকে প্রতিনিয়ত গুলিয়ে ফেলি। রঙ্গমঞ্চের পর্দার পিছনে যাওয়ার সময়ই হয় নি কখনও, আমরা তো সামনে থেকে মজা লুটে...