Skip to main content

সত্যনারায়ণ বিশ্বাসের লেখা বাংলা কবিতা নিজেকে আবার মানুষ বলো!, বাংলা কবিতা, নিজেকে আবার মানুষ বলো!, মানুষকে চেনার কবিতা, নিজের আসল রূপকে চেনো, Bangla Kobita nijeke abar manush bolo by satyanarayan Biswas, bengali poem nijeke abar manus bolo by satyanarayan biswas, best Bengali poem, valo Bangla Kobita, Bengali poem about life, truth about life, quotes about life, reality of life, bastobota, jiboner sotyota,nishthur bastob,jiboner sotyota jibon niye bangla kobita,best bengali porm


  নিজেকে আবার মানুষ বলো!(শেষ অংশ)


28 শে অক্টোবর আমি আমার ব্লগ পেজে একটা কবিতা প্রকাশ করেছিলাম, যার নাম ছিল 'নিজেকে আবার মানুষ বলো!' ,কবিতাটা অনেক দীর্ঘ হওয়ায় একটা পোস্টে সম্পূর্ণ করতে পারিনি, কিছুটা অংশ বাকি ছিল। তাই, আজকে আমার ব্লগ পেজে তার বাকি অংশটা প্রকাশ করলাম। আপনারা চাইলে নিচের লিংকে গিয়ে কবিতার প্রথম অংশটা পড়তে পারেন, ধন্যবাদ!
 নিজেকে আবার মানুষ বলো!(প্রথম অংশ)--http://satyanarayanbiswas.blogspot.com/2019/10/bangla-kobita-nijeke-abar-manush-bolo.html


ইস, কি গরম চা টা! ঠোঁট পুড়ে গেল বুঝি! ফু দিয়ে দিয়ে খান দাদা, সবকিছু কি আর এত সহজেই গেলা যায়!
তো চলুন, সেই প্রশ্নোত্তর পর্বে ফিরে যাওয়া যাক,
না মানে, আমার কিছু পাগলামি, আর আপনার নীরবতা, সরি নীরবতা নয় নির্লজ্জতা!
রাগে তো দেখছি মুখটা লাল হয়ে যাচ্ছে! এত রাগ করলে কি করে হবে দাদা?
দাদা, আপনার তো Instagram-এর bioতে দেওয়া আছে, আপনি নাকি Animal lover,
তা দাদা কেমন Animal lover?ওই বাড়িতে চিকেন রান্না হলে আপনার জন্য leg piece টা আগে তুলে রাখতে বলা Animal lover?
নাকি, জামাইষষ্ঠীতে 1 কেজি Mutton কেনার জন্য আগের থেকে নাম লিখিয়ে রাখা Animal lover?
না আবার বাড়ির চাকর-বাকর ভুল করলে তাদেরকে 'শুয়োরের বাচ্চা' বলে সম্বোধন করার মত Animal lover?
তা দাদা, দীপাবলিতে ছাগলবলির সময় তো দারুন মজা হলো? আপনি তো আবার whatsapp-এ statusও দিয়েছিলেন!
তা দাদা, 'ছাগবলি' শব্দটার আসল অর্থ জানেন?
'ছাগবলি' মানে ছাগল বলি দেওয়া নয়! মনের ভেতরে জমে থাকা অন্ধকার, কুসংস্কার,ঘৃণা,হিংসা,লোভ,খারাপ চিন্তা এসব বিসর্জন দেওয়া....
আপনার তো শুনেছি অনেক বুদ্ধি! তাহলে এই ছোট কথাটার মানে বুঝতে এত দেরি করলেন কেন, যে মা কালীর যদি ছাগল মাংস খাওয়ার এতই শখ, তাহলে এত তো ছাগল ঘুরে বেড়াচ্ছে, একটা তো ধরে চিবিয়ে নিলেই হয়....
আসলে তা না, মা কালীর নয়, মা কালীর ওই আমি-আপনার মত কিছু অকালকুষ্মাণ্ড ভক্তের ছাগলের চর্বিটা অতি প্রিয়! তাই,মা কালীর নামেই ভুরিভোজ টা সেরে নেয়....
আপনিও তো দেখেছি আপনার ছেলের পরীক্ষার রেজাল্টের দিন ঠাকুরের কাছে 101 টাকা দিয়ে মানত করেন,আর মন্দিরের বাইরে ভিক্ষা করতে থাকা বৃদ্ধা মহিলা টা যখন আপনার কাছ থেকে 'বাবু দু টাকা দেন,ভাত খাব' বলে আর্তনাদ করে, তখন আপনি মনে মনে ভাবেন একদিন যদি অনেক বড় হয় এদের জন্য কিছু করব....
কেন, এখন পারেন না ওই 101 টাকাটা মন্দিরে পাথরের সামনে না রেখে বৃদ্ধা মহিলাটার হাতে দিতে? আমার তো মনে হয় ভগবান এতেই বেশি খুশি হতেন!
আসলে দাদা, আমাদের সামর্থ্যের অভাব নয়, অভাব টা মানসিকতার!
দাদা,আপনার কথা আর কি বলবো! এই কিছুদিন আগে, মন্দিরের পাশ দিয়ে যাবার সময় দেখি,একটা অন্ধ ছেলে ভিক্ষা করে ঘরে ফেরার সময় থালা থেকে একটা দশ টাকার নোট পড়ে যায়, আমি সেটা কুড়িয়ে নিয়ে মন্দিরে দিয়ে গোটা পঁচিশেক মানত করে এলাম....
এমনিতে কিন্তু আমি অত ঠাকুর-টাকুর মানি না, কিন্তু ওই বলেনা 'উড়ো খই গোবিন্দায় নমো:'
তারপর বাড়ি গিয়ে বউ-ছেলেদের কাছে কত পুণ্যের কথা শোনালাম....
আর সেই একই সময়ে বাড়ি গিয়ে হয়তো ওই অন্ধ ভিক্ষুক ছেলেটা তার রাত্রের খাবারটা হারালো,
এখানে পূণ্যটা কার হলো জানেন দাদা?
যে সহৃদয় ব্যক্তিটা ছেলেটাকে ওই দশ টাকার নোটটা দিয়েছিলেন,আর আমাদের মত কিছু পাপীর দল সেই মানবিকতার পুণ্যে নির্লজ্জ লোভের থাবা বসাই!
আসল পূণ্য তো মানুষের সেবাতেই!- না,এটা আমার কথা নয়,কোনো এক পাগল বলেছিল!
যাক বাদ দেন এসব গাঁজাখুরি কথা,
অবশ্য, গাঁজাখুরি কথাই বটে আমাদের মত কিছু সভ্য পোশাক-পরিচ্ছদ পরিহিত গাঁজাখোর মানুষের কাছে....


হঠাৎই আমাদের কথোপকথনের মাঝে আমারই পাড়ার হরিদা হঠাৎ আমাকে ধমকি দিয়ে বললেন,'কিরে সত্য, তুই এই পাগল টার সাথে বসে কি বকবক করছিস?', 'এই, সর, এখান থেকে, সর' বলে আমার পাশে বসা তথাকথিত পাগল লোকটাকে তাড়িয়ে দিলেন....
আমি ইতিমধ্যেই বেশ হতভম্ব হয়ে গেছি, আর কি ঘটছে কিছু বোঝার আগেই চা দোকানি পচা , হরিদা কে বলল,'হ্যাঁ হরিদা,কখন থেকে দেখছি ওই পাগল টার সাথে সত্যদা কি বকবক করেই যাচ্ছে!'
ইতিমধ্যে ওই পাগল নামক লোকটা বিড়বিড় করতে করতে অনেকটা দূর হেঁটে চলে গেছে
আর যাই হোক,ওই লোকটাকে পাগল বলার সাহস আমি দেখাতে পারিনি!
শেষমেষ চা দোকানের টাকাটা আমাকেই মেটাতে হলো!
না,সেদিন আর নির্লজ্জের মতো অফিস যেতে পারলাম না।
ফিরে গেলাম বাড়িতে।
বাড়ি ঢোকার মাত্রই স্কুল যাওয়ার জন্য রেডী হতে থাকা আমার ছেলেটা বলে উঠলো,'বাবা, আজ এত তাড়াতাড়ি ফিরে এলে? ও বাবা,আর তোমার জামাটা এত নোংরা হলো কি করে? অফিস যাবে না? ও বাবা?'
তখনও আমার মাথাটা নিচু হয়ে রয়েছে!
ছেলেটার চোখে চোখ রাখতে পারলাম না, তাই মাথা নিচু রেখেই জবাব দিলাম,' হ্যাঁ রে,খোকা, জামাটা সত্যিই নোংরা হয়ে গেছে, অনেক দাগ হয়ে গেছে রে, অনেক দাগ!'
Follow me on fb:http://www.fcebook.com/satyanarayan.biswas.505
Follow me on Instagram:http://www.instagram.com/satya.being.own/

Comments

Popular posts from this blog

সত্যনারায়ণ বিশ্বাসের লেখা বাংলা কবিতা আমার নিজের আমি, বাংলা কবিতা, আমার নিজের আমি, মানুষকে চেনার কবিতা, নিজের আসল রূপকে চেনো, Bangla Kobita amar nijer ami by satyanarayan Biswas, bengali poem amar nijer ami by satyanarayan biswas, best Bengali poem, valo Bangla Kobita, Bengali poem about life, truth about life, quotes about life, reality of life, bastobota, jiboner sotyota,nishthur bastob,jiboner sotyota jibon niye bangla kobita,best bengali poem

              আমার নিজের আমি                                         সত্যনারায়ণ বিশ্বাস   যদি বসো দর কষতে,আমার দাম টা কমই হবে, দাড়িপাল্লায় তোমার দিকটা অনেকখানিই নিচে রবে! তোমার-আমার দুটো ছবি,পাশাপাশি আঁকো যদি, আমি হবো মৃত সাগর,তুমি খরস্রোতা নদী! চোখ ধাঁধানো রঙিন তুমি,ধূসর আমি,ফ্যাকাশে, আমার রাত্রি অন্তহীন, ভোর তোমারই আকাশে! প্রতি খেলায় জয় তোমারই,আমি ব্যর্থতাতে ক্লান্ত, তোমার বাঁধ উপছে পড়ে,আমি তৃষ্ণার্থ! তুমি সরব প্রতিবাদে,আমার নিরব সহ্য, তোমার আছে কাগজ-কলম,আমার ভাষা উহ্য! তোমার পায়ে নূপুর বাজে,আমার পায়ে শিকল, তোমার কাছে পরাজিত আমার সৈনদল! তুমি ,তুমি করে যাকে ডাকছি এতক্ষণ, যার দখলে আমার শরীর,অন্তর ও মন, নাম টা তার অবাক করা, 'হারিয়ে যাওয়া আমি', নিজের গল্পে,কল্পনাতে,অনেকখানি দামী! যার খোঁজেতে তুমিও পাগল,তোমার মত করে, অজান্তেই নিদ্রারত,তোমার অন্তরে! হন্যে হয়ে হাতড়িয়েছি ঘরের সকল কোন, একটি বারও দেখিনি খুঁজে,নিজের শূন্য ...

সত্যনারায়ণ বিশ্বাসের লেখা বাংলা কবিতা নিজেকে আবার মানুষ বলো!, বাংলা কবিতা, নিজেকে আবার মানুষ বলো!, মানুষকে চেনার কবিতা, নিজের আসল রূপকে চেনো, Bangla Kobita nijeke abar manush bolo by satyanarayan Biswas, bengali poem nijeke abar manus bolo by satyanarayan biswas, best Bengali poem, valo Bangla Kobita, Bengali poem about life, truth about life, quotes about life, reality of life, bastobota, jiboner sotyota,nishthur bastob,jiboner sotyota jibon niye bangla kobita,best bengali porm

                                          নিজেকে আবার মানুষ বলো!                                                                                     এই  যে,শুনছেন?  হ্যাঁ,হ্যাঁ, আপনাকেই বলছি, হ্যাঁ,হ্যাঁ, আপনিই....  না তেমন কিছু নয়,বলি একটু সময় কি ধার পাওয়া যাবে? না,আজকালকার দিনে তো ফ্রি তে কিছু পাওয়া যায় না,তাই আর কি! না, মানে আমি কথা দিয়ে আপনার সময়ের ধার শোধ করে দিতাম.... আসলে কিছু প্রশ্ন জাগছে মনে,কিন্তু শত চেষ্টা করেও উত্তর খুঁজে পাচ্ছি না, প্রশ্ন গুলো সবারই, হয়তো আপনার মনেও জেগেছে,আর আপনিও সেই আমার মতোই হয়তো তথাকথিত সমাজের বেড়াজালে আবদ্ধ,তাই 'থাক জেনে কি বিশ্বজয় করবো'-এর দলে নাম লিখিয়েছেন! জানেন তো,আমিও ওই দলেরই স্থায়ী সদস্যপদ নিয়েছ...

সত্যনারায়ণ বিশ্বাসের লেখা বাংলা কবিতা মুখোশের আড়ালে, বাংলা কবিতা মুখোশের আড়ালে, সত্যনারায়ণ বিশ্বাস, মুখোশ, আসল রুপ, bengali poem mukhosher arale by satyanarayan biswas, bangla kobita mukhosher arale by satyanarayan biswas, mukhosh bangla kobita, best bengali poem, asol rup, manuser asol ruper kobita, valo bangla kobita

                                                মুখোশের আড়ালে আমরা মানুষকে চেনার চেয়ে তাদের আন্দাজ করে নিতে বড্ড বেশি অভ্যস্ত!     মানুষটাকে তার মতো করে চেনার এত সময় কোথায়! তার থেকে বরং নিজের মতো করে সাজিয়ে নিই তার জীবনটাকে, এঁকে নিই তার একটা চিত্রপট আমাদের মনের সামর্থ্য অনুযায়ী।     তারপর সেই চিত্রপটকে রাঙ্গিয়ে দিই কিছু সস্তা রঙ্গে! সেই রঙ্গে আসলে আমরা নিজেরা রঙ্গিন,তাই আমরা ভেবে নিই যে হয়তো সবাই রঙ্গিন হতেই পছন্দ করে! রকমারি রঙের ভিড়ে ভুলেই যাই যে সাদাকালো টাও একটা রং,কেও হয়তো সেই রঙ্গেই রঙিন।     নিজের প্রতি আমরা এততাই আসক্ত যে, সর্বদা অন্যের আদলে আমরা নিজেকেই খোঁজার চেষ্টা করি,সুযোগ পেলেই অন্যের আয়নায় উঁকি মেরে নিজেকে সাজিয়ে নিই।     তথাকথিত Social Life-এর সাথে আমাদের সামাজিক জীবনের সংজ্ঞাকে প্রতিনিয়ত গুলিয়ে ফেলি। রঙ্গমঞ্চের পর্দার পিছনে যাওয়ার সময়ই হয় নি কখনও, আমরা তো সামনে থেকে মজা লুটে...