Skip to main content

সত্যনারায়ন বিশ্বাসের লেখা বাংলা কবিতা বাস্তব, জীবনের সত্যতা, জীবনকে চেনা ,অনুভুতি, বাংলা কবিতা আবৃত্তি, bangla kobita bastob, bengali poem bastob by satyanarayan biswas, bengali poem about life, bangla kobita, jiboner kobita, reality about life, reality in bengali poem

                      বাস্তব
বেশি নয়, ষোলো বছর,মাত্র ষোলো....
এই ষোলো বছরে কতটাই বা জানতে পারি জীবন সম্পর্কে!
তবে যেটুকু জেনেছি, তা বাস্তব!
জেনেছি,কেও কারোর জন্য ভাবে না,সবাই স্বার্থপর!
হ্যাঁ,অবশ্য আমিও....
হ্যাঁ,আমিও চাই নি আমার ক্লাসের আমার পরের
ছেলেটির পরীক্ষা ভালো হোক! অন্তত আমার থেকে!
না,সত্যিই আমি চাই নি।
আমি চেয়েছি,সবাই আমাকে গুরুত্ব দিক, আমিই
সবার চোখের মণি হয়ে থাকি,আমার প্রতিদ্বন্দ্বী নয়।
যখন কেউ আমার কাজে লেগেছে,আমার উপকার
করেছে,তখন আমি তাকে  সম্মান করেছি,ভালো বলেছি।
           কিন্তু সে-ই যখন তার উপকারিতার সামর্থ্য
হারিয়ে ফেলেছে বা আমার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছে তখন
সে আমার চোখে খারাপ,বদমাশ! কী তাই তো??
             আমার উপকারে লাগতে পারে,এমন অনেককে
তেল দিয়েছি আমি, তার ব্যর্থতাকে ভাগ্য,আর সফলতাকে
দক্ষতা বলে প্রশংসা করেছি।
               কোনো অসহায় বৃদ্ধাকে 2 টাকা ভিক্ষা দিয়ে
প্রতিদানে ভগবানের কাছে 20 টা ইচ্ছাপূরণের প্রার্থনা
জানিয়েছি।
যে বিষয়টা জটিল লাগে সেই বিষয়ের শিক্ষকের
সাথে ভাব জমিয়ে নাম্বার পাওয়ার আশা রেখেছি।
              অন্য কারোর কাছে নিজে নাম পাওয়ার জন্য তার
কাছে প্রিয় বন্ধুর বদনাম করতে পর্যন্ত ছাড়িনি।
কোনোদিন মন্দিরের আঙিনায় না গেলেও পরীক্ষার
দিন কপালে দই-হলুদের ফোঁটা নিয়ে ঠিক ঠাকুরের
সামনে দশবার কপালে হাত ঠেকিয়েছি।
যে হয়তো কোনো একদিন কোনো কারণে
আমাকে আঘাত করতে বাধ্য হয়েছিল,সে তার
দরকারি কারোর নাম্বার ডিলিট করে মোবাইলটা তার
হাতে তুলে দিয়েছি।
--এইভাবে নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রাভঙ্গ করেছি।
কেউ বিপদে পড়ে টাকা ধার চাইলে,টাকা নেই
বলে তাকে হতাশ করেছি,আবার পরক্ষনেই সেই
টাকা দিয়ে শ্রাবন্তীর ফটো কিনে এনে ঘর সাজিয়েছি।
কী! ভুল করেছি তো আমি?? বলুন....
          আপনারা তো বলবেনই,আপনারা এ ভুল করেননি?
আপনারা অন্যের দক্ষতা,সামর্থ্যকে
ব্যবহার করে নিজের কাজ উদ্ধার করেননি?
হয়তো আপনাদের মধ্যেই কেও নিজে চাকরি পেয়ে
বাবা-মা'র থেকে আলাদা থাকেন--এটা ভুল নয়?
শেষ সময়ে বাবা-মা'র দেখভাল না করাটা
আপনাদের কাছে ভুল নয়,আপনাদের ছেলে মেয়েরা
বাবরের বাবার নাম না জানলে,সেটা ভুল!
কেউ নিজে কবিতা বানায়,সেটা আপনাদের কাছে
আনন্দের নয়,সে অন্য কারোর লেখা কবিতা স্টেজে ভালো আবৃত্তি করতে না পারলে সেটা
ব্যর্থতা! কি,তাই তো??
আমি আপনাদের কাউকে অপমান করতে চাই না,
শুধুমাত্র বাস্তবতার আয়নায় আপনাদের উৎকৃষ্ট
মানসিকতার প্রতিচ্ছবিটা তুলে ধরেছি,সঙ্গে আমারও....
ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমা করবেন,কিন্তু বাস্তব বাস্তবই....
আমি বলি কি না বলি,তাতে কিছু এসে যায় না।
আপনারা নিজে একবার নিজের মনে চেয়ে দেখুন  তো,
আপনারা বাস্তবতার রূপকাঠিটাকে সত্যিই কী
রঙিন করতে পেরেছেন,নাকি ফ্যাকাশে হয়ে পড়ে আছে?
আমি ব্যর্থ বলেই আজ বলছি,চাই না ভবিষ্যতের আমার মতো কারোর স্বপ্নে এভাবে আঘাত করুক আমাদের দ্বারা সৃষ্ট নিষ্ঠুর বাস্তব!!
Follow me on Facebook:http://www.fcebook.com/satyanarayan.biswas.505
  Follow me on Instagram:www.instagram.com/satya.being.own/

Comments

Popular posts from this blog

সত্যনারায়ণ বিশ্বাসের লেখা বাংলা কবিতা আমার নিজের আমি, বাংলা কবিতা, আমার নিজের আমি, মানুষকে চেনার কবিতা, নিজের আসল রূপকে চেনো, Bangla Kobita amar nijer ami by satyanarayan Biswas, bengali poem amar nijer ami by satyanarayan biswas, best Bengali poem, valo Bangla Kobita, Bengali poem about life, truth about life, quotes about life, reality of life, bastobota, jiboner sotyota,nishthur bastob,jiboner sotyota jibon niye bangla kobita,best bengali poem

              আমার নিজের আমি                                         সত্যনারায়ণ বিশ্বাস   যদি বসো দর কষতে,আমার দাম টা কমই হবে, দাড়িপাল্লায় তোমার দিকটা অনেকখানিই নিচে রবে! তোমার-আমার দুটো ছবি,পাশাপাশি আঁকো যদি, আমি হবো মৃত সাগর,তুমি খরস্রোতা নদী! চোখ ধাঁধানো রঙিন তুমি,ধূসর আমি,ফ্যাকাশে, আমার রাত্রি অন্তহীন, ভোর তোমারই আকাশে! প্রতি খেলায় জয় তোমারই,আমি ব্যর্থতাতে ক্লান্ত, তোমার বাঁধ উপছে পড়ে,আমি তৃষ্ণার্থ! তুমি সরব প্রতিবাদে,আমার নিরব সহ্য, তোমার আছে কাগজ-কলম,আমার ভাষা উহ্য! তোমার পায়ে নূপুর বাজে,আমার পায়ে শিকল, তোমার কাছে পরাজিত আমার সৈনদল! তুমি ,তুমি করে যাকে ডাকছি এতক্ষণ, যার দখলে আমার শরীর,অন্তর ও মন, নাম টা তার অবাক করা, 'হারিয়ে যাওয়া আমি', নিজের গল্পে,কল্পনাতে,অনেকখানি দামী! যার খোঁজেতে তুমিও পাগল,তোমার মত করে, অজান্তেই নিদ্রারত,তোমার অন্তরে! হন্যে হয়ে হাতড়িয়েছি ঘরের সকল কোন, একটি বারও দেখিনি খুঁজে,নিজের শূন্য ...

সত্যনারায়ণ বিশ্বাসের লেখা বাংলা কবিতা নিজেকে আবার মানুষ বলো!, বাংলা কবিতা, নিজেকে আবার মানুষ বলো!, মানুষকে চেনার কবিতা, নিজের আসল রূপকে চেনো, Bangla Kobita nijeke abar manush bolo by satyanarayan Biswas, bengali poem nijeke abar manus bolo by satyanarayan biswas, best Bengali poem, valo Bangla Kobita, Bengali poem about life, truth about life, quotes about life, reality of life, bastobota, jiboner sotyota,nishthur bastob,jiboner sotyota jibon niye bangla kobita,best bengali porm

                                          নিজেকে আবার মানুষ বলো!                                                                                     এই  যে,শুনছেন?  হ্যাঁ,হ্যাঁ, আপনাকেই বলছি, হ্যাঁ,হ্যাঁ, আপনিই....  না তেমন কিছু নয়,বলি একটু সময় কি ধার পাওয়া যাবে? না,আজকালকার দিনে তো ফ্রি তে কিছু পাওয়া যায় না,তাই আর কি! না, মানে আমি কথা দিয়ে আপনার সময়ের ধার শোধ করে দিতাম.... আসলে কিছু প্রশ্ন জাগছে মনে,কিন্তু শত চেষ্টা করেও উত্তর খুঁজে পাচ্ছি না, প্রশ্ন গুলো সবারই, হয়তো আপনার মনেও জেগেছে,আর আপনিও সেই আমার মতোই হয়তো তথাকথিত সমাজের বেড়াজালে আবদ্ধ,তাই 'থাক জেনে কি বিশ্বজয় করবো'-এর দলে নাম লিখিয়েছেন! জানেন তো,আমিও ওই দলেরই স্থায়ী সদস্যপদ নিয়েছ...

সত্যনারায়ণ বিশ্বাসের লেখা বাংলা কবিতা মুখোশের আড়ালে, বাংলা কবিতা মুখোশের আড়ালে, সত্যনারায়ণ বিশ্বাস, মুখোশ, আসল রুপ, bengali poem mukhosher arale by satyanarayan biswas, bangla kobita mukhosher arale by satyanarayan biswas, mukhosh bangla kobita, best bengali poem, asol rup, manuser asol ruper kobita, valo bangla kobita

                                                মুখোশের আড়ালে আমরা মানুষকে চেনার চেয়ে তাদের আন্দাজ করে নিতে বড্ড বেশি অভ্যস্ত!     মানুষটাকে তার মতো করে চেনার এত সময় কোথায়! তার থেকে বরং নিজের মতো করে সাজিয়ে নিই তার জীবনটাকে, এঁকে নিই তার একটা চিত্রপট আমাদের মনের সামর্থ্য অনুযায়ী।     তারপর সেই চিত্রপটকে রাঙ্গিয়ে দিই কিছু সস্তা রঙ্গে! সেই রঙ্গে আসলে আমরা নিজেরা রঙ্গিন,তাই আমরা ভেবে নিই যে হয়তো সবাই রঙ্গিন হতেই পছন্দ করে! রকমারি রঙের ভিড়ে ভুলেই যাই যে সাদাকালো টাও একটা রং,কেও হয়তো সেই রঙ্গেই রঙিন।     নিজের প্রতি আমরা এততাই আসক্ত যে, সর্বদা অন্যের আদলে আমরা নিজেকেই খোঁজার চেষ্টা করি,সুযোগ পেলেই অন্যের আয়নায় উঁকি মেরে নিজেকে সাজিয়ে নিই।     তথাকথিত Social Life-এর সাথে আমাদের সামাজিক জীবনের সংজ্ঞাকে প্রতিনিয়ত গুলিয়ে ফেলি। রঙ্গমঞ্চের পর্দার পিছনে যাওয়ার সময়ই হয় নি কখনও, আমরা তো সামনে থেকে মজা লুটে...